হজরত আলি রা.। যুবকদের মধ্যে ইসলাম গ্রহণে তিনিই ছিলেন প্রথম। ২১ রমজান তিনি এক মুনাফিকের হাতে শাহাদাত বরণ করেন।
তাঁর পিতা আবু তালিব, যার তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিশ্বনবি। তাঁর মাতা ফাতিমা বিনতে আসাদ, যিনি বিশ্বনবির লালন-পালনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। হজরত আলির পিতা আবদুল্লাহ, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পিতা আবদুল্লাহ এবং যুবাইর এ তিনজন ছিল সহদর ভাই।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বনু হাশেমকে ইসলামের দাওয়াত দেয়ার সময় হজরত আলি বিশ্বনবির সঙ্গে থাকার কথা ঘোষণা দিয়েছিলেন। তখন তিনি ছিলেন কিশোর। এমনকি মক্কার চরম বিপদের সময় বিশ্বনবি হজরত আলিকে হিজরতের রাতে তাঁর বিছানায় শুইয়ে রেখে গিয়েছিলেন। যাতে বিশ্বনবির নিকট মানুষের গচ্ছিত আমানত তিনি প্রত্যার্পন করে মদিনায় হিজরত করেন।
হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু তাঁর জীবদ্দশায় সংঘটিত প্রত্যেকটি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি বীরত্ব ও সাহসিকতার এমন এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন, যা আজো ইসলামের ইতিহাসে স্মরণীয়।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর কলিজার টুকরা হজরত ফাতিমাকে তাঁর কাছে বিবাহ দেন। তিনি ছিলেন জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় অপ্রতিদ্বন্দ্বি। তাঁর সম্পর্কে বিশ্বনবির বক্তব্য ছিল এমন যে, আমি জ্ঞানে শহর আর আলি হলো সে শহরের দরজা। তাইতো হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় বাইয়াতে রিদওয়ানের চুক্তিপত্র তিনিই লিখেন।
৯ম হিজরি সনে হজরত আবু বকরের নেতৃত্বে হজ পালনের সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশে তিনি সুরা তাওবার ১ থেকে ৩৭ আয়াত পর্যন্ত তিলাওয়াত করে হজে আগত লোকদেরকে শোনান। এ আয়াতগুলোতে ছিল মুক্তির ঘোষণা এবং কাফের মুশরিকদের হজ্ব সম্পাদনে অনুমতি দানের অস্বীকৃতি।
ইসলামের ইতিহাসে যুবকদের মধ্যে প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুকে ১৯ রমজান ফজরের নামাজ আদায় করার সময় ইবনে মুলযেমের তরবারির আঘাতে আহত হন। অবশেষে ৪০ হিজরির ২১ রমজান শাহাদাত বরণ করেন।