Most Recent

Seo Services
বছরে একবার নামাজ হয় যে মসজিদে

কুশলাত মসজিদ, বসনিয়া

বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার একটি শহর জভোর্নিক। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় সারবাসকা প্রদেশে অবস্থিত এ শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে দ্রিনা নদী। নদীর তীরবর্তী পাহাড়ের চূড়ায় কুশলাত মসজিদের অবস্থান। এ মসজিদের অবাক করা বিষয় হলো, বছরে একবার এখানে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

প্রতিদিনের অন্যান্য নামাজ এখানে অনুষ্ঠিত হয় না। কেননা হেঁটে প্রতিদিন বিপজ্জনক সরু পথ পাড়ি দিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই বছরে একবারই এ মসজিদে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ গত ২৬ আগস্ট এখানে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

আশপাশের মুসলিমরা আগ্রহভরে এ নামাজে অংশ নেন। এতে ইমাম ছিলেন শায়খ আহমেদ হোসকানোভিচ।

কুশলাত মসজিদকে ‘বিজয়ের প্রতীক’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার অন্যতম এই প্রাচীন মসজিদের আকৃতি অনেকটা বাজপাখির বাসার মতো।

মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক এলাকায় অবস্থিত মসজিদটির উচ্চতা ও দৃষ্টিনন্দন প্রাচীন সাজসজ্জা একে অনন্য অবস্থানে নিয়ে গেছে।

ইসলামিক ইউনিয়ন অব ইমামের প্রধান আহমেত হোসকানোভিচ জুমার খুতবায় বলেছেন, ‘কুশলাত মসজিদ বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার অন্যতম প্রাচীন মসজিদ। উসমানীয় শাসনামলের প্রথম দিকে তা নির্মিত হয়। ১৪৬০-১৪৮০ সালে অঞ্চলটি বিজয়ের সময় উসমানীয় সেনারা মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেছিল। কনজেভেজ পোলজে ও জোভরনিক এলাকার মধ্যে একটি পাহাড়ের চূড়ায় তা তৈরি করা হয়।

১৯৯২-১৯৯৫ সালে বসনিয়া হত্যাযজ্ঞ ও যুদ্ধের সময় সার্ব সৈন্যরা মসজিদটি পুড়িয়ে দিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে কয়েকটি মুসলিম দেশের সহায়তায় মসজিদটি পুনরুদ্ধার ও সংস্কারের পর ২০১৩ সালে তা মুসল্লিদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এখানে প্রতিবছর আগস্টের শেষ সপ্তাহে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

Nabil
কী করলে এক হাজার নেকি লাভ করা যাবে?
দৈনিক এক হাজার নেকি লাভ ও এক হাজার গোনাহ মাফ হওয়া নিশ্চয় মুমিনের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। কোনো মুমিন এমন সৌভাগ্য হাতছাড়া করতে চাইবে না। প্রিয়নবী (সা.) উম্মতকে এমনই একটি আমল শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘তোমাদের জন্য কি দৈনিক এক হাজার নেকি লাভ করা কঠিন কিছু? তখন এক সাহাবি বলেন, আল্লাহর রাসুল! কী করলে এক হাজার নেকি লাভ করা যাবে? তখন নবীজী বলেন, ‘এক শ বার সুবহানাল্লাহ বললে এক হাজার নেকি লেখা হবে অথবা (কোনো কোনো বর্ণনায়) এক হাজার গোনাহ মোচন হবে। (মুসলিম, হাদিস : ২৬৯৮; ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৮২৫)

এ ছাড়া হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজের পর দশবার ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু। লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু। ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির’ পড়বে, এর বিনিময়ে তার আমলনামায় চারজন গোলাম আজাদ করার সওয়াব লেখা হবে, ১০টি নেকি লেখা হবে, ১০টি গোনাহ মাফ হবে, ১০টি মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে এবং এ কালিমাগুলো সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য শয়তান থেকে রক্ষার কারণ হবে।

মাগরিবের পর পড়লে অনুরূপ সওয়াব মিলবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান থেকে হেফাজতে থাকবে। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৩৫১৮; তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৩৪)

বিভিন্ন বর্ণনায় রয়েছে, নামাজের বৈঠক থেকে ওঠার আগে, কোনো কথা বলার আগেই এই দোয়া পড়বে। কোনো বর্ণনায় শুধু নামাজের পর পড়ার কথা এসেছে। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৩৪, ৩৪৭৪; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৭৯৯০)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘...তার আমলনামায় এক নেকি লেখা হবে, এক শ গোনাহ মাফ হবে এবং একজন গোলাম আজাদ করার সওয়াব পাবে। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৮৭১৯)

অন্য হাদিসে এসেছে, ইসমাঈল (আ.)-এর বংশধরের একজন গোলাম আজাদ করার সওয়াব পাওয়া যাবে। অন্য বর্ণনায় এসেছে, দশজন গোলাম স্বাধীন করার সওয়াব পাওয়া যাবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৭৭; তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৩৪; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৩৫৬৮)

মোদ্দাকথা, বর্ণনার বৈচিত্র্য ও ভিন্নতা থাকলেও ফজর এবং মাগরিবের পর এই দোয়া-আমলের মাধ্যমে আল্লাহ বান্দার গোনাহ মাফ করেন। তাকে সওয়াব দিয়ে পুরস্কৃত করেন। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন।

news zone
বিপদ-আপদ থেকে মুক্তির দোয়া
বিপদ-আপদ মানুষের নিত্যসঙ্গী। বিপদ কখনও বলে-কয়ে আসে না। কখন কার ওপর কোন সমস্যা ও বিপদ নেমে আসে তা কেউ জানে না। স্বাভাবিকভাবে বিপদ বা সঙ্কটে পড়লে মানুষ হতবিহ্বল হয়ে যায়। মানুষের চিন্তা-ভাবনা বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে, মানুষ দিশেহারা হয়ে করণীয় ভুলে যায়।

তবে বিপদে পড়লে সবার প্রথমে আল্লাহ তায়ালার কাছে বিপদ থেকে সাহায্য চাইতে হয়। তিনিই একমাত্র উদ্ধারকারী। তিনি চাইলে মুহূর্তেই যেকোনো বিপদ থেকে মুক্তি দিতে পারেন। সব ধরেনের পেরেশানি দূর করে দিতে পারেন।

বিপদাপদ থেকে পরিত্রাণের জন্য কুরআন এবং রাসুলুল্লাহ সা.-এর হাদিসে কিছু দোয়া ও আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে। হজরত আনাস রা. বলেন, যখন হজরত রাসুলুল্লাহ সা.- এর ওপর কোনো কাজ কঠিন হয়ে দেখা দিত, তখন তিনি এ দোয়াটি পড়তেন। -তিরমিজি: ২৪৫৪

উচ্চারণ: ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুমু বিরাহমাতিকা আসতাগিছু। অর্থ: হে চিরঞ্জীব! হে বিশ্ব চরাচরের ধারক! আমি তোমার রহমতের আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

হজরত রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, মাছের পেটে ইউনুস আ. এ দোয়া পড়ে আল্লাহ তায়ালাকে ডেকেছিলেন এবং মুক্তি পেয়েছিলেন। যদি কোনো মুসলিম বিপদে পড়ে এ দোয়া পাঠ করে, আল্লাহ তা কবুল করবেন। –সুনানে তিরমিজি: ২২৯২

উচ্চারণ: লাইলা-হা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতুমিনাজ্জালিমিন। -সূরা আম্বিয়া: ৮৭। অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তুমি মহাপবিত্র। নিশ্চয়ই আমি সীমা লঙ্ঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত।

বিপদ-মসিবত থেকে বেঁচে থাকতে এই দোয়াগুলোও পাঠ করা যেতে পারে।

উচ্চারণ: ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি ওয়া আখলিফলি খাইরাম মিনহা।

অর্থ: আমরা আল্লাহর জন্য এবং আমাদেরকে তারই দিকে ফিরে যেতে হবে। হে আল্লাহ! বিপদে আমাকে সওয়াব দান করুন এবং যা হারিয়েছি তার বদলে তার চেয়ে ভালো কিছু দান করুন। -সহিহ মুসলিম

অন্য আরেক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সা. বিপদের সময় এই দোয়াটি পাঠ করতেন- উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল হাকিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি- ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।

অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি পরম সহিষ্ণু ও মহাজ্ঞানী। আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি মহান আরশের প্রভু। আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি আকাশমন্ডলী, জমিন ও মহাসম্মানিত আরশের প্রভু। -সহিহ বোখারি ও মুসলিম।

দোয়া  কবুলের বহুঘটনা থেকে কিছু ঘটনা নিয়ে লেখা হয়েছে দু’য়া কবুলের গল্পগুলো ।

news zone
ঋণ ফেরত দেয়ার ঐতিহাসিক অলৌকিক একটি ঘটনা
লায়স রহ. আবূ হুরায়রা রা. হতে থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,  বনি ইসরাঈলের কোন এক ব্যক্তি বনি ইসরাঈলের অপর এক ব্যক্তির নিকট এক হাজার দীনার ঋণ চাইল। তখন সে (ঋণদাতা) বলল, কয়েকজন সাক্ষী আনো, আমি তাদেরকে সাক্ষী রাখব। সে বলল, সাক্ষী হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট।

তারপর (ঋণদাতা) বলল, তা হলে একজন যামিনদার উপস্থিত করো। সে বলল, যামিনদার হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট। ঋণদাতা বলল, তুমি সত্যই বলেছ। এরপর নির্ধারিত সময়ে তাকে এক হাজার দীনার দিয়ে দিল।

তারপর ঋণ গ্রহীতা সামুদ্রিক সফর করল এবং তার প্রয়োজন সমাধা করে সে যানবাহন খুঁজতে লাগল, যাতে সে নির্ধারিত সময়ের ভেতর ঋণদাতার কাছে এসে পৌঁছতে পারে।

কিন্তু সে কোন যানবাহন পেল না। তখন সে এক টুকরো কাঠ নিয়ে তা ছিদ্র করল এবং ঋণদাতার নামে একখানা পত্র ও এক হাজার দীনার তার মধ্যে ভরে ছিদ্রটি বন্ধ করে সমুদ্র তীরে এসে বলল, হে আল্লাহ! তুমি তো জান আমি অমুকের নিকট এক হাজার দীনার ঋণ চাইলে সে আমার কাছে যামিনদার চেয়েছিল। আমি বলেছিলাম, আল্লাহই যামিন হিসাবে যথেষ্ট।

এতে সে রাজী হয়। তারপর সে আমার কাছে সাক্ষী চেয়েছিল, আমি বলেছিলাম সাক্ষী হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট, তাতে সে রাজী হয়ে যায়। আমি তার ঋণ (যথাসময়ে) পরিশোধের উদ্দেশ্যে যানবাহনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি, কিন্তু পাইনি।

তাই আমি তোমার নিকট সোপর্দ করলাম, এই বলে সে কাষ্ঠখণ্ডটি সমুদ্রে নিক্ষেপ করল। আর কাষ্ঠখণ্ডটি সমুদ্রে প্রবেশ করল। অতঃপর লোকটি ফিরে গেল এবং নিজের শহরে যাওয়ার জন্য যানবাহন খুঁজতে লাগল।

ওদিকে ঋণদাতা এই আশায় সমুদ্রতীরে গেল, হয়তোবা ঋণগ্রহীতা কোন নৌযানে করে তার মাল নিয়ে এসেছে। তার দৃষ্টি কাষ্ঠখণ্ডটির উপর পড়ল, যার ভিতরে মাল ছিল।

সে কাষ্ঠখণ্ডটি তার পরিবারের জ্বালানীর জন্য বাড়ি নিয়ে গেল। যখন সে তা চিরল, তখন সে মাল ও পত্রটি পেয়ে গেল।

কিছুদিন পর ঋণগ্রহীতা এক হাজার দীনার নিয়ে এসে হাযির হল এবং বলল, আল্লাহর কসম! আমি আপনার মাল যথাসময়ে পৌঁছিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে সব সময় যানবাহনের খোঁজে ছিলাম। কিন্তু আমি যে নৌযানে এখন আসলাম, তার আগে আর কোন নৌযান পাইনি।

ঋণদাতা বলল, তুমি কি আমার নিকট কিছু পাঠিয়েছিলে? ঋণগ্রহীতা বলল, আমি তো তোমাকে বললামই এর আগে আর কোন নৌযান আমি পাইনি।

সে বলল, তুমি কাঠের টুকরোর ভিতরে যা পাঠিয়েছিলে, তা আল্লাহ তোমার পক্ষ হতে আমাকে আদায় করে দিয়েছেন। তখন সে আনন্দচিত্তে এক হাজার দীনার নিয়ে ফিরে চলে গেল। সহিহ বুখারি, হাদিস-২২৯১।

news zone
পিলখানায় ৫৭ জন শহীদ সেনা অফিসারের পরিচিতি
১। শহীদ মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ, এনডিসি, পিএসসি – ১৯৫৬ সালের ১৮ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৬ সালের ৩০ নভেম্বর আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১, ২, ৩, ৯ ও ২০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি; আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুল, ৯ আর্টিলারি ব্রিগেড, ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি বিডিআরে সেক্টর কমান্ডার (রংপুর), ৬৬ আর্টিলারি ব্রিগেডে কমান্ডার, সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে সামরিক সচিব ও ৬৬ পদাতিক ডিভিশনে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসে সহকারী প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা পদেও নিয়োজিত ছিলেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী নাজনীন হোসেন শাকিল পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ হয়েছেন। তিনি কন্যা আকীলা রাইদা আহমেদ ও পুত্র রাকীন আহমেদকে রেখে গেছেন।

২। শহীদ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাকির হোসেন – ১৯৫৩ সালের ৩০ জুন রংপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮১ সালের ২৩ জুন মেডিক্যাল কোরে কমিশন লাভ করেন। তাঁর জ্যেষ্ঠতার তারিখ ২৩ জুন ১৯৭৮, চাকরি জীবনে তিনি রংপুর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ১০, ১৮, ২১ ও ৩১ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স; ১ ইস্ট বেঙ্গল, রংপুর ক্যাডেট কলেজ, আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট, ২৪ পদাতিক ডিভিশন, সেনা সদর সামরিক সচিবের শাখা, মোমেনশাহী সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ১৯ পদাতিক ডিভিশন ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মোজাম্বিকে জাতিসংঘ মিশন এবং রুয়ান্ডায় জাতিসংঘ সহায়তা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে পরিচালক, মেডিক্যাল সার্ভিস (ডিএমএস) পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী ডা. সাইদা সুলতানা, দুই কন্যা সাদিয়া হোসেন ও সামিয়া হোসেন এবং পুত্র সাকিব আবরার।

৩। শহীদ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল বারী, এনডিসি, পিএসসি – ১৯৫৯ সালের ১৩ জুন খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৮ ও ৯ ইস্ট বেঙ্গল, ৬ ও ১০ বীর, আর্মি স্কুল অব ফিজিক্যাল ট্রেনিং অ্যান্ড স্পোর্টস, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর, সেনা সদর সামরিক প্রশিক্ষণ ও স্টাফ ডিউটিজ পরিদপ্তর এবং স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিক্সে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি ৫৫ পদাতিক ডিভিশনে কর্নেল স্টাফ ও ৯৮ কম্পোজিট ব্রিগেডে কমান্ডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘ ইরাক-কুয়েত পর্যবেক্ষণ মিশন ও সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘ সহায়তা মিশনে অংশগ্রহণ করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরে উপ-মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী ফারহানা বারী এবং দুই পুত্র সুদীপ্ত বারী ও সৌরভ বারী।

৪। শহীদ কর্নেল মো. মজিবুল হক – ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল বরিশাল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইঞ্জিনিয়ার কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১, ৮ ও ৯ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, ১৬ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন, ৫ রিভারাইন ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, এসএমআই, ফিল্ড ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ও বিডিআরে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন কনে। এ ছাড়া তিনি প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরে কর্নেল জেনারেল স্টাফ ও ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসে মিনিস্টার (কনস্যুলার) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জর্জিয়ায় জাতিসংঘ পর্যবেক্ষণ মিশনেও দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরে সেক্টর কমান্ডার (ঢাকা) হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি স্ত্রী নেহরীন ফেরদৌসী, দুই পুত্র মো. মুহিব হক ও মো. নাদীত হক এবং কন্যা তেহ্রীম মুজিবকে রেখে গেছেন।

৫। শহীদ কর্নেল মো. আনিস উজ জামান, এনডিসি – ১৯৫৯ সালের ১৬ আগস্ট রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৯ সালে ২৩ ডিসেম্বর পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১৭ ও ৩২ ইস্ট বেঙ্গল, ৪ ও ৯ বীর, দি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টার, বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি, বিডিআর ও ১০৫ পদাতিক ব্রিগেডে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি সেনাবাহিনী প্রধানের সচিবালয়ে সেনাবাহিনী প্রধানের একান্ত সচিব ও বিডিআরে সেক্টর কমান্ডার পদেও দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরে পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড ট্রেনিং) পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি জাতিসংঘ ইরাক কুয়েত পর্যবেক্ষণ মিশন ও লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশন এ-ও অংশগ্রহণ করেন। তাঁর স্ত্রী নাজমা জামান, দুই কন্যা ফারিহা মেহরিন জামান ও সামিহা মেহরিন জামান এবং পুত্র মো. আহনাফউজ জামান।

৬। শহীদ কর্নেল মোহাম্মদ মসীউর রহমান, পিএসসি – ১৯৬৩ সালের ১ জানুয়ারি খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮২ সালের ৫ নভেম্বর সিগন্যাল কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১, ৩, ৫ ও ৭ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন, এসটিসিঅ্যান্ডএস, ১০২ স্বতন্ত্র ব্রিগেড সিগন্যাল কম্পানি, স্ট্যাটিক সিগন্যাল কম্পানি ও সেনা সদর সামরিক প্রশিক্ষণ পরিদপ্তরে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রুয়ান্ডায় জাতিসংঘ সহায়তা মিশন ও পূর্ব তিমুরে জাতিসংঘ অন্তর্বর্তীকালীন সহায়তা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে পরিচালক (যোগাযোগ) পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমান এবং দুই পুত্র জুবায়ের আল মুসা ও মো. আশেকুর রহমান।

৭। শহীদ কর্নেল কুদরত ইলাহী রহমান শফিক, এনডিসি, পিএসসি – ১৯৬২ সালের ১ নভেম্বর রংপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ১০ জুন পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১, ৩, ১০, ১৮ ও ৪৩ ইস্ট বেঙ্গল (৮ বীর), এসআইঅ্যান্ডটি, ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড ও এমআইএসটিতে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বসনিয়া ও সুদানে জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর কমান্ডার (দিনাজপুর) পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি স্ত্রী লবী রহমান ও একমাত্র পুত্র সাকিব রহমানকে রেখে গেছেন।

৮। শহীদ কর্নেল মোহাম্মদ আখতার হোসেন, পিএসসি, জি– ১৯৬৩ সালের ২৪ জুন নওগাঁ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ১০ জুন আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১ ও ৯ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২৯ ডিভ লোকেটিং ব্যাটারি আর্টিলারি, এসআইঅ্যান্ডটি, বিএমএ, ৩৩ আর্টিলারি ব্রিগেড, ১৯ পদাতিক ডিভিশন, ২১ ও ৩৮ এডি রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৫৬ স্বতন্ত্র মিডিয়াম এডি ব্যাটারি আর্টিলারি ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রুয়ান্ডায় জাতিসংঘ সহায়তা মিশনে পর্যবেক্ষক এবং লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনে চিফ অপারেশন অফিসার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর কমান্ডার (চট্টগ্রাম) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (রীমা) এবং তিন পুত্র মো. ইমতিয়াজ হোসেন ফারাবী, মো. ফয়সাল হোসেন ফাহমী ও মো. আন্দালীব হোসেন ফারদিন।

৯। শহীদ কর্নেল মো. রেজাউল কবীর, এএফডবি্লউসি, পিএসসি – ১৯৬৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ১০ জুন আর্মি সার্ভিস কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৩২, ৩৫ ও ৩৬ এসটিক ব্যাটালিয়ন; এসএসডি বগুড়া, এসএসডি রংপুর, আর্মি সার্ভিস কোর সেন্টার অ্যান্ড স্কুল ও সেনা সদর এমএস শাখায় বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি বিডিআরে সেক্টর কমান্ডার (দিনাজপুর) পদেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মোজাম্বিকে জাতিসংঘ মিশনে কম্ব্যাট জাতিসংঘ সাপ্লাই প্লাটুন কমান্ডার এবং সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘ সহায়তা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে পরিচালক (প্রশাসন) হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী সাইদা সুলতানা। তিনি পুত্র মো. ফায়সাল কবীর এবং দুই কন্যা রাইসা কবীর ও রামিজা কবীরের জনক।

১০। শহীদ কর্নেল নাফিস উদ্দিন আআহমেদ, পিএসসি – ১৯৬১ সালের ৫ জানুয়ারি ভোলা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ১০ জুন আর্মর্ড কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি বেঙ্গল ক্যাভ্যালরি, ৬ ক্যাভ্যালরি, ৭ হর্স, পিজিআর, সেনা সদর এমটি পরিদপ্তর, ২ রাইফেল ব্যাটালিয়ন ও স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিডিআরের সেক্টর উপ-অধিনায়ক পদেও কর্মরত ছিলেন। তিনি সাবেক যুগোস্লাভিয়া ও লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি রাইফেলস ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে কমান্ড্যান্ট পদে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি স্ত্রী মুন্নী চৌধুরী ও একমাত্র পুত্র ইয়াছির আহমেদ উসামাকে রেখে গেছেন।

১১। শহীদ কর্নেল কাজী এমদাদুল হক, পিএসসি ১৯৬২ সালের ৭ ডিসেম্বর রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ১০ জুন পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১১ ও ১৮ ইস্ট বেঙ্গল, ২৪ পদাতিক ডিভিশন, এসআইঅ্যান্ডটি, ১ প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন ও সেনা সদর বাজেট পরিদপ্তরে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি র‌্যাব-৭-এ অধিনায়ক, ১১ পদাতিক ডিভিশনে কর্নেল স্টাফ ও ৭৭ পদাতিক ব্রিগেডে ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মোজাম্বিকে জাতিসংঘ মিশনে সামরিক পর্যবেক্ষক, লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনে স্টাফ অফিসার পদেও দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর কমান্ডার (রাজশাহী) পদে নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী নাজনীন নুর সুইটি এবং দুই পুত্র কাজী উমান এমদাদ ও কাজী তাওসীফ এমদাদ।

১২। শহীদ কর্নেল বিএম জাহিদ হোসেন, পিএসসি ১৯৬১ সালের ১০ আগস্ট বরিশাল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ১০ জুন পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৯, ১৯, ২৭ ও ৪০ ইস্ট বেঙ্গল; ১ ও ৯ বীর, এসআইঅ্যান্ডটি, ৬৬ পদাতিক ডিভিশন ও সদর দপ্তর লগ এরিয়ায় বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি বিডিআরে সেক্টর কমান্ডার এবং ডিজিএফআইয়ে কর্নেল জিএস পদেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘ ইরাক কুয়েত পর্যবেক্ষণ মিশন এবং লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর কমান্ডার (ময়মনসিংহ) পদে নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী নিসরাত জাহিদ। তাঁদের দুই পুত্র বিএম আবরার শাহরিয়ার ও বিএম রুবাইয়াত শাহরিয়ার।

১৩। শহীদ কর্নেল সামসুল আরেফিন আহাম্মেদ, পিএসসি ১৯৬২ সালের ২০ আগস্ট ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৬, ২০, ৩২ ও ৩৭ ইস্ট বেঙ্গল, ২৮ বীর, ৬৫ পদাতিক ব্রিগেড, এফআইইউ, ১১ ও ২৪ পদাতিক ডিভিশন এবং সেনা সদর এমআই পরিদপ্তরে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি এরিয়া সদর দপ্তর কুমিল্লার কর্নেল অ্যাডমিন পদেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রুয়ান্ডায় জাতিসংঘ সহায়তা মিশন এবং লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনে সামরিক পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর কমান্ডার (কুষ্টিয়া) পদে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি স্ত্রী হাসিনা মমতাজ এবং দুই কন্যা আসিমা ইসরাত ও রামিসা ফারিহাকে রেখে গেছেন।

১৪। শহীদ কর্নেল মো. নকিবুর রহমান, পিএসসি ১৯৬৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ২, ১৪, ৩০, ৩২ ও ৪২ ইস্ট বেঙ্গল, ২১ বীর, ২৪ পদাতিক ডিভিশন, এসআইঅ্যান্ডটি, বিআরইউ যশোর ও ৫৫ পদাতিক ডিভিশনে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মোজাম্বিকে জাতিসংঘ মিশন এবং জর্জিয়ায় জাতিসংঘ পর্যবেক্ষণ মিশনে সামরিক পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরে সেক্টর কমান্ডার (কুমিল্লা) পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী নিশাদ রহমান, পুত্র নাবিল ইবনে নাকিব ও কন্যা নুদরাত বিনতে নাকিব।

১৫। শহীদ কর্নেল কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, পিএসসি ১৯৬০ সালে ১৪ ডিসেম্বর কুমিল্লা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিগন্যালস কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১, ২, ৩ ও ১০ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন; এসটিসিএস, আর্মি সিগন্যাল ব্রিগেড, ডিজিএফআই ও সেনা সদর পিএস পরিদপ্তর এবং বিডিআরের ৩৭ রাইফেল ব্যাটালিয়নে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রুয়ান্ডায় জাতিসংঘ সহায়তা মিশনে সামরিক পর্যবেক্ষক এবং কঙ্গোতে জাতিসংঘ মিশনে অধিনায়ক, ফোর্স ব্যানএমপি-১ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর কমান্ডার (রাঙ্গামাটি) পদে নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী বদরুন্নেছা খানম। তিনি দুই পুত্র কাজী সামির আসাফ ও কাজী সাদির আসাফের জনক।

১৬। শহীদ কর্নেল গুলজার উদ্দিন আহমেদ, পিএসসি ১৯৬৪ সালের ২১ মার্চ কুমিল্লা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন।চাকরি জীবনে তিনি ২, ৮, ৩৪, ৪৪ ইস্ট বেঙ্গল (৯ বীর), ৬৬ পদাতিক ডিভিশন, বিএমএ, এনসিওস একাডেমি ও সেনা সদর এমও পরিদপ্তরে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি র‌্যাব-৩-এ অধিনায়ক এবং র‌্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরে পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কম্বোডিয়ায় জাতিসংঘ অন্তর্বর্তীকালীন সহায়তা মিশনে সামরিক পর্যবেক্ষক এবং সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘ সহায়তা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর কমান্ডার (সিলেট) পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাঁর স্ত্রী ফাতেমা সুলতানা এবং দুই কন্যা জাহীন তাসনিয়া ও লামিয়া সাইয়ারা।

১৭। শহীদ কর্নেল মো. শওকত ইমাম, পিএসসি, জি+ ১৯৬১ সালে ২০ মে চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৪ সালের ১ জুন আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৫, ২১, ৩৬ ও ৩৮ এডি রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ১৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২৩ রাইফেল ব্যাটালিয়ন, এসিঅ্যান্ডএস ও সেনা সদর আর্টিলারি পরিদপ্তরে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জর্জিয়ায় জাতিসংঘ পর্যবেক্ষণ মিশন এবং সুদানে জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর কমান্ডার (খাগড়াছড়ি) পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি স্ত্রী নুজহাত আহসান ও একমাত্র কন্যা সুমেরা ফাইজা আজরিনকে রেখে গেছেন।

১৮। শহীদ কর্নেল মো. এমদাদুল ইসলাম, পিএসসি ১৯৬২ সালের ১৫ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৪ সালের ২১ ডিসেম্বর পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৮, ৩৯, ৪৩ (৮ বীর) ও ৪৪ (৯ বীর) ইস্ট বেঙ্গল, বিডিআর, বিএমএ এসআইঅ্যান্ডটি, পিজিআর ও ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তাজিকিস্তানে জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক মিশনে পর্যবেক্ষক এবং লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনের ফোর্স সদর দপ্তরে ডেপুটি চিফ অপারেশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর কমান্ডার (খুলনা) পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী শামীমা আক্তার (লুনা) এবং পুত্র মো. আকিফ আল ইসলাম ও কন্যা নৌশিন নাওয়ার নূরজাহান।

১৯। শহীদ কর্নেল মো. আফতাবুল ইসলাম, পিএসসি ১৯৬৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৫ সালের ১৯ মে আর্মি সার্ভিস কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৩২ ও ৩৩ এসটি ব্যাটালিয়ন, এসএসডি মোমেনশাহী, এসএসডি কুমিল্লা, এএসসিসিঅ্যান্ডএস, আন্তবাহিনী নির্বাচনী পর্ষদ, সেনা সদর এমটি পরিদপ্তর ও প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তরে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ইরাকে জাতিসংঘ গার্ড কন্ডিনজেন্ট এবং সুদানে জাতিসংঘ মিশনে (টঘগওঝ) দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরে সেক্টর কমান্ডার (রংপুর) পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি স্ত্রী নাসিমা মোশারাফ বন্যা ও একমাত্র কন্যা নুদরাত নাওয়ারকে রেখে গেছেন।

২০। শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল এনশাদ ইবন আমিন, জি+ ১৯৫৯ সালের ৩ মার্চ রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ২১, ৩৬ ও ৩৮ এডি রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ১৫ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ডিজিএফআই ও আইএসএসবিতে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সাবেক যুগোস্লাভিয়া ও আইভরিকোস্টে জাতিসংঘের মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে রাইফেলস সিকিউরিটি ইউনিট, ঢাকার অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী ডা. রোয়েনা মতিন। তিনি পুত্র এম মাশাহেদ বিন এনশাদ এবং কন্যা নুজহাত নাহিয়ান এনশাদের জনক।

২১। শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল শামসুল আজম, পিএসসি, ইএমই ১৯৬০ সালের ৭ জানুয়ারি পটুয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮০ সালের ১৫ জুন ইএমই কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১৮ ও ১২৭ ফিল্ড ওয়ার্কশপ কম্পানি, ৭০৩ মিডিয়াম ওয়ার্কশপ; ১১, ২৪ ও ৩৩ পদাতিক ডিভিশন, ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ, বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি ও ৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অপারেশন কুয়েত পুনর্গঠনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের কমান্ডার ইএমই (ঢাকা) পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী মুনমুন আক্তার। তিনি তিন পুত্র তারিক বিন আজম তানিম, জারিফ বিন আজম জিষান ও সুদীপ্ত শাহীন মাশরাফির পিতা।

২২। শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী রবি রহমান, এনডিসি ১৯৫৬ সালের ১ নভেম্বর মাগুরা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৪ সালের ১ অক্টোবর আর্মি ডেন্টাল কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৭ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স, যশোর সিএমএইচ, রংপুর সিএমএইচ, মোমেনশাহী সিএমএইচ, সাভার সিএমএইচ, বগুড়া সিএমএইচ, ঢাকা সিএমএইচ, কুমিল্লা সিএমএইচ, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনের ব্যানমেড-৩-এ দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর হাসপাতালে পর্যায়িত দন্ত বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী ডা. ফৌজিয়া রশিদ। তাঁদের দুই পুত্র কাজী অদ্রি আরাফাত রহমান ও কাজী দিপ্র সাদাকাত।

২৩ শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া মোহাম্মদ নিয়ামতউলাহ, পিএসসি জি ১৯৬৩ সালের ১ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮২ সালের ৫ নভেম্বর আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৭, ৮, ২০ ও ২৭ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি; ২৮ মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারি, বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি, ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ, ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড, ১৯ পদাতিক ডিভিশন ও আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জর্জিয়ায় জাতিসংঘ পর্যবেক্ষণ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে সিনিয়র রেকর্ড অফিসার (রেকর্ড উইং, ঢাকা) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি স্ত্রী শারমিন জাহান শিল্পী এবং দুই কন্যা আফিফা জাহিন সুস্মিতা ও নাফিজা জাহিন ইফরীতকে রেখে গেছেন।

২৪ শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. বদরুল হুদা, পদাতিক ১৯৬৩ সালের ১ জানুয়ারি গোপালগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮২ সালের ৫ নভেম্বর পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১৩, ১৯, ৪৭, ৫০ ও ৫৯ ইস্ট বেঙ্গল বিডিআর ও এএসইউয়ে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মোজাম্বিকে জাতিসংঘ পর্যবেক্ষণ মিশন (টঘঙগঙত), জাতিসংঘ ইরাক কুয়েত পর্যবেক্ষণ মিশন এবং আইভরিকোস্টে জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের ১৩ রাইফেল ব্যাটালিয়নে (ঢাকা) অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি স্ত্রী নাসিমা বদরুল এবং দুই কন্যা সাবরিনা হুদা ও তামান্না হুদাকে রেখে গেছেন।

২৫ শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল এলাহী মন্জুর চৌধুরী, পদাতিক ১৯৬২ সালের ২৮ ডিসেম্বর সিলেট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮২ সালের ৫ নভেম্বর পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৮, ৯, ২৩, ৩০ ও ৫২ ইস্ট বেঙ্গল এবং আর্মি এমপি ইউনিটে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কুয়েত, আইভরিকোস্ট ও লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনে শান্তিরক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে এএজি হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি স্ত্রী তানি্ন ইয়াফতা চৌধুরী, দুই কন্যা সারাহ জুমানা মন্জুর ও ফারাহ মন্জুর এবং পুত্র ফাইয়াজ মনজুরকে রেখে গেছেন।

২৬ শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. এনায়েতুল হক, পিএসসি, আর্টিলারি ১৯৬২ সালের ১৪ জুন ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮২ সালের ৫ নভেম্বর আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ২১, ২৫, ৩৩, ৩৮ ও ৫৬ এডি রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৫৭ স্বতন্ত্র মিডিয়াম ব্যাটারি আর্টিলারি, এসিঅ্যান্ডএস, ৬ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড ৩০৯ পদাতিক ব্রিগেড ও ১৯ পদাতিক ডিভিশনে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তাজিকিস্তানে জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক মিশনে সামরিক পর্যবেক্ষক এবং আইভরিকোস্টে জাতিসংঘ মিশনে (দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের ৩৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নের (ঢাকা) অধিনায়ক পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি স্ত্রী শাহানা কবীর, দুই কন্যা নাবিলাহ এনায়েত প্রভা ও তামকিন এনায়েত শামাকে রেখে গেছেন।

২৭। শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু মুছা মো. আইউব কাইসার, পিএসসি, ইঞ্জিনিয়ার্স ১৯৬২ সালের ১৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ১০ জুন ইঞ্জিনিয়ার কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৫ ও ১১ আরই ব্যাটালিয়ন, ২ ও ১২ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, ১৬ ইসিবি ও এএসইউয়ে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি জিই (আর্মি) হিসেবেও নিয়োজিত ছিলেন। তিনি অপারেশন কুয়েত পুনর্গঠনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে একিউএমজি (রক্ষণাবেক্ষণ ও নির্মাণ শাখা) হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী মুশরাদ জাহান পিনু। কারিশা মুশরাত ও জাফারিয়া কাইসার নামে তাঁদের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।

২৮। শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সাইফুল ইসলাম, এসি ১৯৬০ সালের ১৯ অক্টোবর সিরাজগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর সাঁজোয়া কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৬ ক্যাভালরি, ৪ হর্স, ১২ ল্যান্সার, বিডিআর ও সেনা সদর সাঁজোয়া পরিদপ্তরে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রুয়ান্ডায় জাতিসংঘ সহায়তা মিশন পূর্ব তিমুরে জাতিসংঘ অন্তর্বর্তীকালীন সহায়তা মিশন , অপারেশন সার্ক বন্ধন এবং মালদ্বীপে প্রেরিত টাস্কফোর্সে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তর অপারেশন ও প্রশিক্ষণ পরিদপ্তরে জিএসও-১ পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন।তিনি স্ত্রী শাহীনুর পারভীন জবা এবং তিন পুত্র শাহ মোঃ সালাউদ্দীন সাইফ, শাহ মোঃ আসিফ হাসান ও সরকার মোঃ শরীফুল ইসলাম আদ্দীনকে রেখে গেছেন।

২৯। শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ লুৎফর রহমান, পিএসসি, আর্টিলারি ১৯৬৪ সালের ১০ নভেম্বর জামালপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৫ সালের ১৯ মে আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৪ ৪ মর্টার রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৫৬ স্বতন্ত্র এএ ব্যাটারি আর্টিলারি, ৫৭ ও ৫৮ স্বতন্ত্র মিডিয়াম এএ ব্যাটারি আর্টিলারি, ৩৮ এসএএ রেজিমেন্ট আর্টিলারি; ৬, ১২, ১৫ ও ২৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, সিলেট ক্যাডেট কলেজ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও বিডিআরের ৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জর্জিয়ায় জাতিসংঘ পর্যবেক্ষণ মিশন ও পশ্চিম সাহারায় জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের ২৪ রাইফেল ব্যাটালিয়নে (ঢাকা) অধিনায়ক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তার স্ত্রী মুনমুন রহমান। এম তাসকীন রহমান ও তাম্মি তানজিনা রহমান নামে তাঁদের এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

৩০। শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাজ্জাদুর রহমান, অর্ডন্যান্স ১৯৬৭ সালের ২৭ জানুয়ারি পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৭ সালের ২৬ জুন অর্ডন্যান্স কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি অর্ডন্যান্স ডেপো-যশোর, ৩১ আইএপি, অর্ডন্যান্স ডেপো-কুমিল্লা, ৫০৫ ডিওসি, অর্ডন্যান্স সেন্টার অ্যান্ড স্কুল, এরিয়া সদর দপ্তর, চট্টগ্রাম এবং সেনা সদর অর্ডন্যান্স ও ডবি্লউইএন্ডএস পরিদপ্তরে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অপারেশন কুয়েত পুনর্গঠনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে সহকারী পরিচালক, অর্ডন্যান্স সার্ভিস হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি স্ত্রী শারমিন নিশাত সিরাজী এবং দুই পুত্র মোহাম্মদ মুহতাসিম ইত্তিসাফ ও মোহাম্মদ তাওসীফ ইসফাককে রেখে গেছেন।

৩১। শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল লুৎফর রহমান খান, এএমসি ১৯৬৪ সালের ১ জুন ঝালকঠি জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি মেডিক্যাল কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৬১ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স, ২৩ ও ২৪ ইস্ট বেঙ্গল, এএফএমআই, রংপুর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি পিলখানায় বিডিআর হাসপাতালে পর্যায়িত মনোরোগবিদ্যা বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী ডা. রওশন আরা বেগম। তাঁর ফাবলিহা বুশরা নামে এক কন্যা এবং ফাহিম ইব্রাহিম রহমান খান নামে এক পুত্র সন্তান রয়েছে।

৩২। শহীদ মেজর মো. মকবুল হোসেন, পদাতিক ১৯৬২ সালের ২৭ জানুয়ারি খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ১০ জুন পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ২ ও ২৩ ইস্ট বেঙ্গল, পিজিআর, বিডিআরের ৬ ও ৩৪ রাইফেল ব্যাটালিয়ন, এএসইউ ও ডিজিএফআই-এ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি লাইব্রেরিয়ায় জাতিসংঘ পর্যবেক্ষণ মিশন ও আইভরিকোস্টে জাতিসংঘ মিশনে (দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের ৩৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নে উপ-অধিনায়ক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি তাঁর স্ত্রী তাহিরা নিপা এবং একমাত্র কন্যা যারিন মুসাররাতকে রেখে গেছেন।

৩৩। শহীদ মেজর মো. আব্দুস সালাম খান, পদাতিক ১৯৬৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি শরীয়তপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৪ সালের ১০ জুন পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৪ ও ৪৫ ইস্ট বেঙ্গল, এসআইএন্ডটি, ১ প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন, ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড ও এসএসএফে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মোজাম্বিকে জাতিসংঘ পর্যবেক্ষণ মিশন ও সুদানে জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে রেকর্ড অফিসার-২ হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী মাহবুবা বেগম বন্যা। সাকিব মাহমুদ খান (প্রীতম) ও আকিব মাহবুদ খান (প্রতীক) নামে তাঁদের দুই পুত্র সন্তান রয়েছে।

৩৪। শহীদ মেজর হোসেন সোহেল শাহনেওয়াজ, পদাতিক ১৯৬৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৪ সালের ১ জুন পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৫, ১২, ২৫ ও ৩৪ ইস্ট বেঙ্গল; বিডিআর, সেনাসদর পিএ পরিদপ্তর, বাংলাদেশ আর্মড সার্ভিসেস বোর্ড, এএফএমএসডি ও বিআইআইএসএসে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘ ইরাক-কুয়েত পর্যবেক্ষণ মিশন ও আইভরিকোস্টে জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের জেড এফএসও, ঢাকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি স্ত্রী হাসনাহেনা চৌধুরী এবং কন্যা আদিবা কাশফী ঐশী ও পুত্র হোসেন সাফাত হাসনাতকে (ওহী) রেখে গেছেন।

৩৫। শহীদ মেজর কাজী মোছাদ্দেক হোসেন, আর্টিলাটির ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারি পটুয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৪ সালের ২১ ডিসেম্বর আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১, ২, ৩, ১৪ ও ২৭ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৩৬ এডি রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২৮ মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৩৩ পদাতিক ডিভিশন, সদর দপ্তর লগ এরিয়া, বিডিআর ও র‌্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি লাইব্রেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনেও দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি ৩৩ রাইফেল ব্যাটালিয়নের উপঅধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী কোহিনুর হোসেন। তাঁদের দুই কন্যা কাজী নাজিফা তাবাস্সুম হোসেন ও কাজী নাজিয়া তাবাস্সুম হোসেন।

৩৬। শহীদ মেজর আহমেদ আজিজুল হাকিম, ইঞ্জিনিয়ার্স ১৯৬৫ সালের ১৯ আগস্ট পাবনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৫ সালের ১৯ মে ইঞ্জিনিয়ার কোরে কমিশন লাভ করন। চাকরি জীবনে তিনি ১, ৩ ও ১২ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, আর্মি এমপি ইউনিট, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ, রংপুর ক্যাডেট কলেজ ও বগুড়ায় সিএমইএস (আর্মি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কুয়েতে বাংলাদেশের কম্পোজিট ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন-৪-এ দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে ডিএএএন্ডকিউএমজি, নির্মাণ (ঢাকা) পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি স্ত্রী আকলিমা আজিজ (রেবা), পুত্র আহমেদ আনজুম আজিজ ও কন্যা রোকাইয়া বিনতে আজিজকে রেখে গেছেন।

৩৭। শহীদ মেজর মোহাম্মদ সালেহ, পদাতিক ১৯৬৩ সালের ১১ জানুয়ারি ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৫ সালের ১৯ মে পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১১, ২৫ ও ৫০ ইস্ট বেঙ্গল, আর্মি এমপি ইউনিট, ৭ এমপি ইউনিট ও ৯ পদাতিক ডিভিশনে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি হাইতিতে জাতিসংঘ মিশন ও কঙ্গোতে জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে ডিএএজি (প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী নাসরীন আহমদ রুমা এবং দই পুত্র রাইয়ান মাহমুদ ও রাজিন মাহমুদ।

৩৮। শহীদ মেজর কাজী আশরাফ হোসেন, আর্টিলারি ১৯৬৭ সালের ১ জানুয়ারি বরিশাল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৩ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২১ এডি রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৫৭ স্বতন্ত্র মিডিয়াম এডি ব্যাটারি আর্টিলারি, আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুল ও ডিজিএফআইয়ে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘ সহায়তা মিশন ও লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি ঢাকায় বিডিআরের ১৩ রাইফেল ব্যাটালিয়নে অপারেশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি স্ত্রী নাদেজদা জেরিন চৌধুরী ছাড়াও কন্যা আফরা নাওরাহান (ঐশী) ও পুত্র আইলিয়া আশরাফ (সৌম্য)কে রেখে গেছেন।

৩৯। শহীদ মেজর মাহমুদ হাসান, পদাতিক ১৯৬৭ সালের ৩০ জুন চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১৩, ১৫, ২৭ ও ৪৫ ইস্ট বেঙ্গল (১০ বীর), ১৯ বীর, আর্মি এমপি ইউনিট, ৭ এমপি ইউনিট ও সেনা সদর পিএস পরিদপ্তরে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কম্বোডিয়ায় জাতিসংঘ অন্তর্বর্তীকালীন মিশন ও জাতিসংঘ ইরাক-কুয়েত পর্যবেক্ষ মিশনদায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের সেক্টর সদর দপ্তর, ঢাকায় জেনারেল স্টাফ অফিসার-২ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী সোনিয়া হাসান। তাঁদের একমাত্র পুত্র নাফিস হাসান রাইয়ান।

৪০। শহীদ মেজর মুস্তাক মাহমুদ, পিএসসি, আর্টিলারি ১৯৬৪ সালের ১ জানুয়ারি যশোর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ২, ১৪ ও ২০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৩৫ ডিভ লোকেটিং ব্যাটারি আর্টিলারি, ১০ মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারি, এএসইউ ও সেনা সদর এসডি পরিদপ্তরে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনের বাংলাদেশ সেক্টর সদর দপ্তরে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তর রাইফেল ব্যাটালিয়নে উপ-অধিনায়ক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি স্ত্রী শাহপার খান শম্পা, পুত্র সামিন মাহমুদ এবং দুই কন্যা সানজে মাহমুদ ও সাজিন মাহমুদকে রেখে গেছেন।

৪১। শহীদ মেজর মাহমুদুল হাসান, আর্টিলারি ১৯৬৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ২, ৩ ও ২৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ১০ মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারি ও ৫৫ আর্টিলারি ব্রিগেডে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘ সহায়তা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে জেনারেল স্টাফ অফিসার-২ (ইন্টেলিজেন্স) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি স্ত্রী আইরিন সুলতানা, কন্যা জারিন তাসনিম মাহমুদ ও পুত্র মোঃ মোহাইমিনুল হাসানকে রেখে গেছেন।

৪২। শহীদ মেজর হুমায়ুন হায়দার, পিএসসি, আর্টিলারি ১৯৬৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৮ সালের ২৪ জুন আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৪, ১৪ ও ১৫ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুল, এসএসএফ, ১৯ আর্টিলারি ব্রিগেড, ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ, ৩৩ পদাতিক ডিভিশন ও সেনা সদর কল্যাণ ও পুনর্বাসন পরিদপ্তরে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কঙ্গোতে জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে ৩৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নের ইন্টেলিজেন্স অফিসার হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী শামীমা পারভিন, পুত্র তাসীন ঋতি্বক হুমায়ুন (গত ২০ জুলাই মারা গেছে) ও কন্যা উশিয়া আমরিন রূপন্তী।

৪৩। শহীদ মেজর মোঃ আজহারুল ইসলাম, পিএসসি, আর্টিলারি ১৯৬৯ সালের ১ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৮ সালের ২৪ জুন আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৬, ১৪, ১৫ ও ২৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি এবং অ্যাডহক মিডিয়াম ব্যাটারি আর্টিলারিতে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘ ইরাক-কুয়েত পর্যবেক্ষণ মিশনেও দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের ২৩ রাইফেল ব্যাটালিয়নের (খুলনা) উপ-অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।তিনি স্ত্রী শাহীনা শিউলী ও কন্যা আদনিনা ইসলাম (ঐশী)কে রেখে যান। গত ১৮ মে ২০০৯ তারিখে তাঁর স্ত্রী আরেকটি কন্যা সন্তানের মা হয়েছেন।

৪৪। শহীদ মেজর মো. হুমায়ুন কবীর সরকার, পদাতিক ১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৯, ৩৪ ও ৪৫ ইস্ট বেঙ্গল (১০ বীর), পিজিআর ও বিডিআরে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘ ইরাক-কুয়েত পর্যবেক্ষণ মিশন ) ও লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে জেনারেল স্টাফ অফিসার-২ (অপারেশন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী রাশিদা কবীর রেবা এবং দুই পুত্র সাদাফ আবরার রাইয়ান ও তাশদীদ আবরার রাইয়ান।

৪৫। শহীদ মেজর মোঃ খালিদ হোসেন, আর্টিলারি ১৯৬৯ সালের ২৫ জুলাই পাবনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৯ সালের ২২ ডিসেম্বর আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৪ ও ৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, আর্মি এমপি ইউনিট ও ডিজিএফআইয়ে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে মহাপরিচালকের সচিবালয়ে জেনারেল স্টাফ অফিসার-২ (কর্ড) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি জাতিসংঘ ইরাক-কুয়েত পর্যবেক্ষণ মিশন ও লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর স্ত্রী শিরিন আক্তার। আরিহা তাঁদের একমাত্র কন্যা সন্তান হোসেন সেমন্তী।

৪৬। শহীদ মেজর মাহবুবুর রহমান, আর্টিলারি ১৯৬৯ সালের ৭ ডিসেম্বর ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৯ সালের ২২ ডিসেম্বর আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ২, ৯ ও ১২ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২৯ ডিভ লোকেটিং ব্যাটারি আর্টিলারি, ২৫ এডি রেজিমেন্ট আর্টিলারি, এমআইএসটি ও ৫ এমপি ইউনিটে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘ সহায়তা মিশন ও লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে যোগ দিয়েছিলেন কেবল। তিনি স্ত্রী রিতা রহমান ও একমাত্র কন্যা ফায়জা মাহবুবকে রেখে গেছেন।

৪৭। শহীদ মোঃ মিজানুর রহমান, পদাতিক ১৯৭০ সালের ৩১ মে পটুয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯১ সালের ২১ জুন পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১৮, ২৯ ও ৪৭ ইস্ট বেঙ্গল, ২৭ বীর, বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি ও ডিজিএফআইয়ে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘ সহায়তা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে জেনারেল স্টাফ অফিসার-২ (ট্রেনিং) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।তাঁর স্ত্রী প্রয়াত রেবেকা ফারহানা রোজী এবং দুই পুত্র মোঃ তেহসিন বিন রহমান (রামী) ও মো. ফারদীন রহমান (সামী)।

৪৮। শহীদ মেজর মোহাম্মদ মাকসুম-উল-হাকিম, আর্টিলারি ১৯৭২ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯১ সালের ২০ ডিসেম্বর আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১, ৩ ও ২৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি এবং ৫৭৫ এফআইইউয়ে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘ সহায়তা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের ২৪ রাইফেল ব্যাটালিয়নে অপারেশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি স্ত্রী কামরুন নাহার মাকসুম ও একমাত্র পুত্র মো. আহনাফ জারিফ খানকে রেখে গেছেন।

৪৯। শহীদ মেজর এস এম মামুনুর রহমান, এএমসি ১৯৬৯ সালের ৩ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৬ সালের ২ জুলাই আর্মি মেডিক্যাল কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ২ ও ৭ ইস্ট বেঙ্গল, ৫ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন এবং তিনি কুয়েতে অপারেশন কুয়েত পুনর্গঠনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে ডিএডিএমএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি স্ত্রী তাহমিনা সাদেক এবং একমাত্র পুত্র এসএএম মোস্তাফিজুর রহমান (তাহমীদ)কে রেখে গেছেন।

৫০। শহীদ মেজর মোঃ রফিকুল ইসলাম, এইসি ১৯৬৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৩ সালের ২৪ জুলাই শিক্ষা কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি সেনা সদর জেএজি বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কঙ্গোতে জাতিসংঘ মিশনে লিগাল অ্যাডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে জেএজি শাখায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী শাহিনা আক্তার। মো. শাদমান সাকীব ও মো. রাগীব শাহরিয়ার নামে তাঁদের দুই পুত্র সন্তান রয়েছে।

৫১। শহীদ মেজর সৈয়দ মো. ইদ্রিস ইকবাল, ইঞ্জিনিয়ার্স ১৯৭৩ সালের ২৬ মার্চ খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৬ ও ১২ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন এবং ৫৭ ইঞ্জিনিয়ার কম্পানিতে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের ৩০ রাইফেল ব্যাটালিয়নে অপারেশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি অপারেশন কুয়েত পুনর্গঠনে (ওকেপি-১) দায়িত্ব পালন করেন। কুয়েত ছাড়াও তিনি সৌদি আরব, মিসর ও সাইপ্রাস সফর করেন। তাঁর স্ত্রী ডা. তাসলিমা রফিক। তাহসিনা বিনতে ইকবাল ও নুসাইবা বিনতে ইকবাল নামে তাঁদের দুইটি কন্যা সন্তান আছে। ইদ্রিস ইকবাল নিহত হওয়ার ৬ মাস পর গত আগস্টে তাঁদের দ্বিতীয় কন্যাটির জন্ম হয়।

৫২। শহীদ মেজর আবু সৈয়দ গাযালী দস্তগীর, এসি ১৯৭৪ সালের ১১ আগস্ট ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৫ সালের ১৫ জুন সাঁজোয়া কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৯ বেঙ্গল ল্যান্সার, এফআইইউ, ১২ ল্যান্সার, বেঙ্গল ক্যাভালরি ও বিডিআরের ১৮ রাইফেল ব্যাটালিয়নে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কঙ্গোতে জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে রাইফেলস্ সিকিউরিটি ইউনিটের ইস্টার্ন ডেস্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি স্ত্রী ক্যাপ্টেন কাজী মৌসুমী, অর্ডন্যান্স ও একমাত্র পুত্র কাজী ইব্রাহিম দস্তগীর (অনিন্দ্য) কে রেখে গেছেন।

৫৩। শহীদ মেজর মুহাম্মদ মোশারফ হোসেন, অর্ডন্যান্স ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৬ সালের ৭ জুন অর্ডন্যান্স কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি অর্ডন্যান্স ডেপো যশোর, সেন্ট্রাল অর্ডন্যান্স ডেপো, ১৯ পদাতিক ডিভিশন ও সেন্ট্রাল অ্যামোনিশন ডেপোতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কুয়েতে উম-আল গোয়াতী প্রজেক্টে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআর সদর দপ্তরে এটিও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি স্ত্রী কামরুন নাহার লিপি ও পুত্র মুহাম্মদ আকিব মাহমুদকে রেখে যান। গত ২৩ মে তাঁদের আরেকটি পুত্র সন্তান কামরান মোঃ আদিবের জন্ম হয়।

৫৪ শহীদ মেজর মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম সরকার, এসি ১৯৭৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৬ সালের ৭ জুন সাঁজোয়া কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৪ হর্স, বিডিআর, ৬ ক্যাভ্যালরি, ১ প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন ও আর্মি এমপি ইউনিটে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সুদানে জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের ২৪ রাইফেল ব্যাটালিয়নে ইন্টেলিজেন্স অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। মৃত্যুর ১১ দিন পর তাঁর সন্তানসম্ভবা স্ত্রী সানজানা সোনিয়া জোবাইদা গত ৯ মার্চ ২০০৯ তারিখে এক পুত্র সন্তানের মা হন, যার নাম রাখা হয়েছে সাদাকাত সাবরী বিন মমিন।

৫৫। শহীদ মেজর মোস্তফা আসাদুজ্জামান, এসি ১৯৭৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর যশোর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৭ সালের ১২ জুন সাঁজোয়া কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৪ হর্স, এএসপিটিএস ও ১২ লান্সারে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের ১১ রাইফেল ব্যাটালিয়নে (রামগড়) অপারেশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী সাইয়ারা নুসরাত সাইকি। তাঁদের একমাত্র কন্যা সন্তানের নাম সাহমিন ইয়াশা সুহা।

৫৬। শহীদ মেজর তানভীর হায়দার নূর, আর্টিলারি ১৯৭৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৯ সালের ২০ ডিসেম্বর আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৩৬ এডি রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৩৮ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি ও বিডিআরের ৩৫ রাইফেল ব্যাটালিয়নে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের ৩৪ রাইফেল ব্যাটালিয়নে অ্যাডজুটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী তাসনুভা মাহা (প্রেরণা) স্ত্রীকে ছাড়াও তিনি দুই পুত্র তাসবীদ ইসরাক (ইফাজ) ও তাসবীর ইসফার (ওয়াদা)কে রেখে গেছেন।

৫৭। শহীদ ক্যাপ্টেন মোঃ মাজহারুল হায়দার, আর্টিলারি – ১৯৮০ সালের ৩০ এপ্রিল টাঙ্গাইল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ থেকে পড়াশোনা করেন এবং ২০০০ সালে কমিশন প্রাপ্ত হন। তিনি বিডিআর ডিজি মহোদয়ের এডিসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।এছাড়াও তিনি দেশে বিদেশে উচ্চতর প্রশিক্ষন লাভ করেন। ২৫শে ফেব্রুয়ারী ঘটনার ৮০ দিন পূর্বে তৎকালীন আইজিপি জনাব নূর মোহাম্মদ এর কন্যা ফারিহা নূর এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

তথ্যঃ ইন্টারনেট অবলম্বনে।

news zone
জানাযা নামাজ পড়ার পদ্ধতি
জানাযার নামাজ ফরজে কিফায়া। এ নামাজ মুসল্লিদের জন্য সাওয়াব বর্ধন এবং মৃত ব্যক্তির জন্য সুপারিশ। 

জানাযায় লোক সংখ্যা বেশি হওয়া মুস্তাহাব এবং মুসল্লি সংখ্যা যত বাড়তে ততই উত্তম। তবে কাতার বেজোড় হওয়া উত্তম। 

জানাযার নামাজ মূলত মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া ও ইস্তেগফার। জানাযার নামাজ পড়ার পদ্ধতি তুলে ধরা হলো-

১. প্রথমত মৃত ব্যক্তিকে ক্বিবলার দিকে সম্মুখে রেখে ইমাম ও মুসল্লিদের দাঁড়ানো।

২. মুসল্লীরা নামাজের অজুর ন্যায় অজু করে ইমামের পিছনে ক্বিবলামুখী হয়ে দাঁড়ানো।

৩. মৃত ব্যক্তি পুরুষ হলে ইমাম তার মাথার পাশে দাঁড়ানো। আর মহিলা হলে কফিনের মাঝ বরাবর দাঁড়ানো। মৃত ব্যক্তির মাঝ বরাবর দাঁড়ানোতে কোনো দোষ নেই।

৪. জানাযার নিয়ত করে চার তাকবিরের সহিত নামাজ আদায় করা।

৫. কাঁধ বা কানের লতি পর্যন্ত দু’হাত উত্তোলন করে আল্লাহু আকবার বলে নিয়ত বাঁধা।

৬. অন্যান্য নামাজের ন্যায় ডান হাত বাম হাতের উপর রাখা।

৭. ছানা পড়া (কেউ কেউ সুরা ফাতিহা পড়ে অন্যান্য সুরা মিলানোর কথা উল্লেখ করেছেন।)

৮. দ্বিতীয় তাকবিরের পর দরূদে ইবরাহিম পড়া।

৯. তৃতীয় তাকবির দিয়ে ইখলাসের সঙ্গে হাদিসে বর্ণিত দোয়াসমূহের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করা।

১০. চতুর্থ তাকবির দিয়ে যথাক্রমে ডানে ও বামে সালাম ফিরানোর মাধ্যমে জানাযার নামাজ শেষ করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মৃত ব্যক্তির মাগফিরাত কামনায় এবং নিজেদের সাওয়াব বৃদ্ধিতে সুন্দরভাবে জানাযার নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

news zone
৪০ লাখ সওয়াব পাওয়া যায় যে দোয়া পাঠে
৪০ লাখ সওয়াব পাওয়া যায় যে দোয়া পাঠে



ওমর শাহ : 

বিশিষ্ট সাহাবি হজরত তামিম দারি রাযিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি এ বাক্য দশ বার পড়বে সে চল্লিশ লাখ সওয়াব পাবে। 

বাক্যটি হলো,
أَشْهَدُ أَنْ لاَ إله  إِلاَّ الله، وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، إِلهاً وَاحِداً أَحَداً صَمَداً لَمْ يَتَّخِذْ صَاحِبَةً وَلاَ وَلَداً
وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُواً أَحَدٌ

উচ্চারণ: 

আশহাদুআল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, ইলাহান ওয়াহিদান, আহাদান সামাদান, লাম ইয়াত্তাখিজ সাহিবাতান, ওয়ালা ওয়ালাদান; ওয়ালাম ইয়াকুল লাহু কুফুওয়ান আহাদ।

অর্থ: 
আমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো উপাস্য নেই। তিনি একা, তার কোনো শরিক নেই। একক উপাস্য, একাই, অমুখাপেক্ষী, তার স্ত্রী-সন্তান নেই। তার সমকক্ষও কেউ নেই।

news zone

বিজ্ঞাপন

Seo Services